স্টাফ রিপোর্টার মনির খান, নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়ার ৮ নং দিঘলিয়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের মালিক আলহাজ্ব সৈয়দ বোরহান উদ্দিন অবৈধ ভাবে নবগঙ্গা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে তার লোহাগড়া উপজেলার কোলা গ্রামের ৫ তলা বাংলো বাড়িতে নির্মাণ কাজে নিচ্ছে।

উক্ত অবৈধ বালু উত্তোলনের নিউজ অনলাইন ও নিউজ পেপারে প্রকাশিত হয়। আলহাজ্ব সৈয়দ বোরহান উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার ২৬শে আগস্ট ২০২১ তারিখ দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিকায় উক্ত প্রকাশিত নিউজের একটি প্রতিবাদ নিউজ প্রকাশ করেন। কিন্তু যে নিউজটির প্রতিবাদ করেছে সেটা সরজমিনে অনুসন্ধানে চাক্ষুষ দেখা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। সেটা ও প্রতিবাদ দিয়েছে অবৈধ বালু উত্তোলন কারী আলহাজ্ব সৈয়দ বোরহান উদ্দিন। আজ বৃহস্পতিবার ২৬ শে আগস্ট ২০২১ তারিখ পূর্বের নিউজের পর আজ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় লোহাগড়া টু দিঘলিয়া রুটের কোলা গ্রামের মেইন রুটের উপর স্প্রিড ব্রেকার তৈরি করে জন সাধারণের যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়, কোলা গ্রামের আলহাজ্ব সৈয়দ বোরহান উদ্দিন নব গঙ্গা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রেখেছেন। ড্রেজার মালিক লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামের মৃত:তোতালেব খান এর ছেলে বাল্লক খান কে উক্ত নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন সম্পর্কে আজ পূনরায় জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের মালিক সৈয়দ আলহাজ্ব বোরহানউদ্দিন বলছে কোন বাধা আমি মানি না তোমরা কাজ চালিয়ে যাও। ড্রেজার মালিক বাল্লক খান আরো বলেন বোরহান কাকা আপনি তো জানেন এই জায়গাটা সরকারি নদী, আমি গরীব মানুষ আমার বিপদ হবেনা তো? উত্তরে তিনি বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, প্রশাসন, সাংবাদিক সবই আমি ম্যানেজ করেছি। তোমাদের কাজ তোমরা করো এবং, এই নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন সম্পর্কে ইউএনও মহোদয় কে বিষয়টি জানালে ও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন কে জানালে তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। অবশেষে লোহাগড়া থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ আবু হেনা মিলন কে ও বিষয়টি জানানো হয়। প্রশাসনের কাছে লোহাগড়া উপজেলার জনগন অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার জোর দাবি জানান।